এক একটি কবিতার বই গোধূলি রঙের হয়। সেই গোধূলির ভিতর
দূর কোনও এক গোপন থেকে বাঁশি বাজায় কেউ। আর আমরা সেই বাঁশির শব্দ শুনে উদাস হয়ে যাই।
একা একা কাঁদি। একা একা ভাবি, এই সুর তো আমার ভিতরে বাজছে সেই কবে থেকে, কিন্তু টের
পেল না তো কেউ। বেজে উঠল যে, তবে কি আমার ভিতরে, তোমার ভিতরে, তার ভিতরে আছে এক কেউ,
যার কোনও আলাদা রূপ নেই, আলাদা দুঃখ নেই, আলাদা কাব্য নেই? ব্যক্তিগত ভাবে নানান বিপর্যয় আমাকে একটি কথা শিখিয়েছে,
সমস্ত মৃত্যুই আসলে নিজের মৃত্যুভয়ের, মৃত্যুচেতনার কাছে টেনে নিয়ে যায়। মৃত্যু নামক
সেই ভয়ানক অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছিলাম যখন আমি কিশোর। আচমকা মৃত বাবার মুখের দিকে
তাকিয়ে মনে হয়েছিল ঠিক কী, তা আমি জানি না। হয়ত তখন কিছুই ভাবিনি। কিন্তু বৃহৎ সব কিছুর মতই দুঃখ আসলে ধীরে ধীরে প্রবেশ করে জীবনে,
আর জীবনকে শিক্ষিত করে জীবনের এই মহান সত্য সম্পর্কে। জীবনকে শেখায়, তোমার আরও বেশি
যত্নবান হওয়া উচিত ছিল তাদের প্রতি, যাদের হারিয়ে ফেলে তুমি একা হয়ে যাও। তুমি টের পাও যে, শোক ক্ষণিকের, কিন্তু দুঃখ চিরকালীন, শোক মর্মাহত, অস্থির করে
তোলে, কিন্তু দুঃখ স্থির করে, প্রজ্ঞা এনে দেয়। হয়ত এ কারণেই রবীন্দ্রনাথ তাঁর ছিন্নপত্রে
লিখেছিলেন ‘বড় দুঃখ”-এর কথা।
দুঃখ প্রত্যেক মানুষের জীবনেই আসে। দুঃখ হল এক নিয়তির
মতো। কিন্তু বড় দুঃখ খুব কম আসে। সব থেকে বড় কথা, খুব কম দুঃখ বড় দুঃখ হয়ে ওঠে। যখন
সে বড় দুঃখ হয়ে ওঠে, তখন সেই শোক থেকে শ্লোকের জন্ম হয়। শোকগাথা যে বড় কবিতা হয় না,
তা আমরা জানি। কিন্তু দুঃখ যা মানুষকে অন্তর্গত কথা বলতে শেখায়্, তা-ই মনে হয় সব শিল্পের
অন্তর্গত কথা। তর্পণ বলতে যদি কিছু থাকে প্রিয়জনের জন্য, তা মনে হয় সেই দুঃখটুকু, সেই
জ্ঞানটুকু, না ভুল বললাম, সেই প্রজ্ঞাটুকু, যা পেতে সেই দুঃখের কাছেই সে দীক্ষিত হয়।
এই বইটি পড়ার পর থেকেই আমি ভাবছিলাম, তবে কী আমি একটি কবিতার বইয়ের রিভিউ করতে বসলাম?
আমার মনে চকিতের মতো হাজির হল সেই উত্তর, না, আমি সেই বইয়ের সাথে কথোপকথন করতে বসলাম,
যা হয়ত আমি চিরকাল মাঝে মাঝে পড়ব। বইটি সবে প্রকাশিত হয়েছে তালপাতা থেকে। সন্দীপন চক্রবর্তীর
এক ফর্মার ছোট্ট কাব্যপুস্তিকা ‘ তর্পণ’। শুধু কবিতার বই এটি নয়, বরং বলা ভাল, মা ও
ছেলের মধ্যে এমন এক কথোপকথন, যা হয়ত মৃত্যুর অগোচরেই বলা হয়ে গেছে, বলা হচ্ছে এবং আরও
বলা হবে। কারণ এই কথাবার্তা ফুরোবার নয় কোনওদিন।
বইটির
শুরুতেই যে কবিতাটি, বলা যেতে পারে বিভাব কবিতা বা উৎসর্গ কবিতা, সেটিই আমাদের নিয়ে
যায় সেই চিরন্তন সম্পর্কের দিকে। ‘মা’। যে শব্দটি আমাদের অন্তর্গত রক্তের স্রোতে খেলা
করে, কিন্তু বিপন্ন বা ক্লান্ত করতে নয়, বরং এক সমর্পণের দিকে। কবি, আমাদের বন্ধু সন্দীপন,
এখানে, এক নতুন মন্ত্রই যেন বা লিখে ফেলেছেন তর্পণের।
“…যা কিছু আমার ফিরবে না আর, বন্ধ রাস্তা, দাঁড়িয়ে দেখা
যা কিছু
আমার ভাঙা আড্ডা, যা কিছু আমার ভীষণ একার...
হ্যাঁ সমস্তই তো। পারা-না-পারা, শোনা-না-শোনা, অন্ধ চোখের তীরন্দাজী
( আহা কী ব্যবহার), সমস্তই কবির তর্পণের মন্ত্র। কারণ এই জীবনের শুরু থেকে শেষ তো সেই
নাড়ির টান, সেই অস্তিত্ব, যার সাথে কবির সমস্ত অনুভূতিমালার জন্ম হয়, যা শাশ্বতকালীন।
তাই সে সব-ই তো কবির তর্পণের বিষয়, তাঁর জন্য,
যিনি কবির অন্তরে আছেন, প্রতি মুহূর্তে আছেন, প্রতি আনন্দে আছেন, প্রতি দুঃখে আছেন।
মনে পড়ে যায় জয় গোস্বামীর উন্মাদের পাঠক্রমের সেই বিখ্যাত কবিতা। কিন্তু সেই শোক, সেই
কাব্য ছিল আগুনের শিখার মতো লকলকে। আর সন্দীপনের এই কবিতা ও কবিতাগুলি হল স্রোতে ছাই
ভাসিয়ে দেওয়ার পরে দূরের দিকে তাকিয়ে থাকার মতো শান্ত।
ছিটকে আসে আরেকটি
কবিতা, হাসপাতাল। যেখানে দুঃখের সংযমের মতো আশ্চর্য গলায় কবি বলে উঠছেন- কোজাগরী পূর্ণিমার মন্ত্র বিড়বিড় করছি। বলছি –– ‘মা,
ভালো হয়ে ওঠো’। আর ঠিক তার পরেই টোকা মারে অপেক্ষা নামক কবিতাটি, যেখানে মৃত্যুর ক্রমশ এগিয়ে
আসা প্রত্যক্ষ করতে করতে কবি মায়ের প্রতি বলে উঠছেন এক অন্তর্গত কথায়- “আমি জানি পরিণাম। আমি জানি শেষের দিগন্ত। তাও শোনো –– এই শেষ চেকপোস্ট।
এই শেষ অতন্দ্র প্রহরা। একে না টপ্কে তুমি কিছুতেই দখল পাবে না”। মৃত্যুর দিকে
মানুষ এগিয়ে যায় না কি মৃত্যু মানুষের দিকে ক্রমশ এগিয়ে আসে? সেই খেলা চলতে থাকে।
আর কবি দেখেন, এক সন্তানের যন্ত্রণার মধ্যেই কবি দেখেন “হে মৃত্যু, হে
লক্ষ্যভ্রষ্ট তীরন্দাজ, আমি জানি –– মেডেল শেষ পর্যন্ত তোমার গলাতেই উঠবে। কিন্তু
তার আগে, লক্ষ্য করো এই গতি, ড্রিবলিং, এই দুর্দান্ত টেকনিক। ওই রেফারির বাঁশি, ওই
ফয়সালাহীন কিছু সম্ভাবনা ঝিলিক মারছে”।
আর ঠিক এখানেই কবির এই বইয়ের কবিতাগুলি আর
ব্যক্তিগত শোক থাকে না। ভাষা পায় এক আবহমান ও চিরন্তন কিছু সংলাপের, ভাষা পায় এক
তীক্ষ্ণ মৃত্যু ও জীবনচেতনার। ভাষা পায় এমন এক ক্যামেরার, যে নিজেও কাঁদছে। যে
নিজেও অনুবাদহীন এক যন্ত্রণার প্রত্যক্ষ অভিযাত্রী। কিন্তু যে নিজেই আবার উদাসীন
ভাবে দেখে চলেছে এক চিরন্তন যুদ্ধকে, এক খেলাকে। সে জানে এর পরিণাম কী। কিন্তু যে
আবহমান সত্য আমাদের জীবন-মৃত্যু নিরপেক্ষ ভাবে, আমাদের অস্তিত্ব নিরপেক্ষ ভাবে
আমাদের সঙ্গে চলছে সেই অনন্তকাল ধরে, সেই আবহমান সত্যকে তিনি দেখতে পাচ্ছেন। তার প্রমাণ প্রস্থান
নামক কবিতাটি, যা আবহমানকালের বাংলা কবিতায় স্থান পাওয়ার যোগ্য। কবিতাটি পুরোই তুলে
দিলাম।
“মা চলে গেলে––শুধু মা নয়––তার সঙ্গে চলে যায় অনেক ইতিহাস। চলে যায়
উদ্বাস্তু হয়ে উঠে আসা নাসির মিঞার বাড়ি, ফেরার জেঠামণি আর বিধবা ঠাকুমার গল্প।
চলে যায় অল্প বয়সেই বাবার প্রেমে পড়া, অনেক ঝামেলা করে বিয়ে। চলে যায় আমার
ছেলেবেলা, পিকনিক, লাল সাদা প্লাস্টিকের বল। মা চলে গেলে, আকাশ ভেঙে বৃষ্টি নামে।
আর মা’র কোলবালিশটা পাশে নিয়ে, বাবা উল্টোদিক ফিরে শোয়। মা চলে গেলে –– শুধু মা নয়
–– আমার বাবাও একটু কুঁজো হয়ে পড়ে”। (প্রস্থান)
দেখুন পাঠক ঋত্বিক ঘটকের মা- এর আর্কিটাইপ কীভাবে সন্দীপনের কবিতায়, বাংলা
কবিতায় ফিরে এল। কীভাবে এই চলে যাওয়া হয়ে উঠল এক সত্ত্বার চলে
যাওয়া। যেন হারিয়ে ফেলছি আমরা আমাদের সময়, আমাদের শৈশব, আমাদের নস্টালজিয়া, আমাদের
সংস্কৃতি, আমাদের ইতিহাস। মা যেন, আমাদের প্রত্যেকের ভিতরে থাকা সেই সময়ের প্রতীক,
যার সাথে আমাদের শিকড়ের সম্পর্ক। আর ঠিক এভাবেই সন্দীপনের
প্রতিটি কবিতাই আমাকে অন্তত নিয়ে গেছে বিনয়
মজুমদারের সেই মন্ত্রের মত লাইনের দিকে যেখানে তিনি বলছেন- নিষ্পেশনে ক্রমে ক্রমে অঙ্গারের
মতন সংযমে/ হীরকের জন্ম হয় দ্যুতিময়, আত্মসমাহিত”। একটিই হীরকখন্ড, তার বিভিন্ন তলে
একই অভিজ্ঞতার বিভিন্ন প্রতিকৃতির মত, বিশ্বজনীন সত্যগুলি উঠে এসেছে সন্দীপনের এক একটি কবিতায়। দেখি সেই ঝলকের এক একটি টুকরো।
১) না, কোনো কান্না নয়, কোনো অমোঘতার বোধ নয়, মাথার ভিতর
কাজ করছে শুধু –– দম্কা হাওয়ায় ছাতা
উড়িয়ে নিলে যেমন লাগে, বোধহয় সেইরকম একটা কিছু। কাঁধ দু’টো ক্রমশ ভারী...আরও
ভারী...ঝুলে পড়ছে। বুঝতে পারছি –– মা আসলে এক সুগন্ধ, যা হারিয়ে যায়, যা শুধু
অল্পবিস্তর লেগে থাকে স্মৃতির সুড়ঙ্গে। ( শ্মশান)
২) তুমুল ঝড়ের পর, ভেঙে পড়া গাছপালা, ছিঁড়ে যাওয়া তারের মধ্যে দিয়েও,
যেভাবে শান্ত আর ঠাণ্ডা হয়ে আসে প্রকৃতি, সেরকম থেকো। আমাদের প্রাত্যহিক রান্নার
ভিতর নুনের দানার মতো থেকে যেও তুমি। আমাদের সুখে দুঃখে প্রেমে পাশে পাশে থেকো।
আমাদের সমস্ত চিড়ধরা দেওয়ালের খাঁজে খাঁজে থেকো।( চিঠি)
৩) মা –– এই মুক্তদলে সমস্ত সংসার বাঁধা থাকে।(মিথ্যে)
৪) কী নিবিড় সংযোগে থেকে যাও সংযোগহীন! সেতুও সম্ভব নয় – জেনে তবু
বৃত্তাকার গোধূলিবেলার ম্লান আলো, কাঁধে হাত রাখে তার। বলে, ‘আঃ, এত চাপ নিও না খামোখা’। সমস্ত আলোর দিকে নেমে
আসে আস্তে আস্তে অর্থহীন ছায়া; বৃষ্টি শুরু হল... (মল্লার)
৫) শুধু আমার
মেয়েটা আস্তে আস্তে আরও বড় হয়ে যাবে। শুধু ভোররাতের দিকে, গা একটু শিরশির করে
উঠলে, আমরা চাদরটা আরেকটু টেনে নেবো। আর মনে পড়বে তোমায়।(লক্ষ্মী)
আমার কেন জানি না, খুব ঋত্বিক ঘটকের কথা মনে পড়ছে সন্দীপন, যদিও প্রসঙ্গ
আলাদা।
গ্রন্থ- তর্পণ সন্দীপন চক্রবর্তী প্রকাশক – তালপাতা মূল্য – ২০ টাকা
উষামঙ্গল – আবহমানতার অনুবর্তন
বিষাদ মানুষকে আরো গভীর ও নির্লিপ্ত
করে তোলে। কিন্তু অবসাদ তা করে না, হিংস্র করে তোলে, প্রতিহিংসাপরায়ণ করে তোলে।
বিষাদের নীরবতার চেয়ে অবসাদের উন্মার্গগামীতাই আমাদের চোখে পড়ে বেশি। আর এটা অতি
দুর্ভাগ্যজনক বিষয়, যে আমরা প্রতিভাবানের পাগলামিকে গ্লোরিফাই করে তাদের আরো
অসুস্থ করে দিই। শেষ পর্যন্ত শিল্প এক স্থিতপ্রজ্ঞ মনের ও বোধের স্মারক। উন্মাদের
প্রলাপ নয়। অবসাদের সেলিব্রেশনকে শিল্প বলা ইউরোপীয় আধুনিকতার এক অসুখ। দু:খের
বিষয়,
সেই অসুখ এখন লালিত, উদযাপিত এবং প্রচারিত। প্রতিভা যদি আত্মধ্বংসী হয়, তবে তা প্রতিভার অসুখ। আর যদি সে
উদাসীন নির্লিপ্ত বড় দু:খের সন্ধানী হয়ে নিজের থেকে বাইরে বেরিয়ে সর্বব্যাপী হয়,
তবেই সেই প্রতিভা নিজের ব্যক্তিত্বকে খুঁজে পেয়েছে বলা যায়। না- হলে সব কিছুই খুব হাওয়ায় ঢিল মারা।
বোধকে খুঁজে পেতে এবং পেলে তাকে
আবহমানতার সূত্র ধরে চিনতে পারলে বিষাদ আসবেই। কিন্তু তা অবসাদ আনতে পারে কি? অবসাদ তো পার্থিব অসম্পূর্ণতা থেকে আসে। যে শিল্পী এই পার্থিব
অসম্পূর্ণতার অবসাদে আক্রান্ত, তিনি বোধকে খুঁজে পান কী কখনো?
শমীক
সেনগুপ্ত-র উষামঙ্গল এই সময়ে দাঁড়িয়ে একটি সম্পূর্ণ অনুবর্তনের দিকে হেঁটে চলা
কবিতার বই, যার মধ্যে রয়েছে এক অনাবিল শান্তি আর চিরন্তন মাধুর্যের পৃথিবী। কখনও
কখনও মনে হয় বইটির মধ্যে ঢুকে পড়ে বইটির জগতে ছুটে চলে যাই।বইটি পড়ে বেশ শান্তি
আসে এটি যেমন সত্য, তেমন এটিও সত্য, কোন কোন জায়গায় অবিশ্বাসও আসে। আসলে এক
শাশ্বতকালীন মন্থরতার সুর এই বইটির পাতায় পাতায় প্রতিধ্বনিত হয়। শুধু তা-ই নয়,
বইটি স্বয়ংসম্পূর্ণ ভাবে এক ধরনের জীবনভাবনার কাছে আমাদের নিয়ে যায়।
সকালের শান্তি বইটির পাতায় পাতায়।
এক চিরন্তন দর্শন, মায়ের কোলের মত, বনস্পতির পল্লবিত ছায়ার মত পরিব্যাপ্ত হয়ে আছে বইটিতে।
কিন্তু কোথাও কিছু করার চেষ্টা নেই, নতুন ভাষার ব্যায়াম নেই, হাততালি কুড়োনোর সার্কাস নেই, সমাজ বদলানোর স্লোগান নেই আর নেই আরো একটি বিষয়। জোর করে দার্শনিক কবিতা তৈরি করার যেমন চেষ্টা নেই, তেমন নেই জোর করে কিছু ভাবনাকে প্রতিষ্ঠিত করাও। সব যেন অতি স্বাভাবিক ভাবে এসেছে এই বইটিতে।
সকালের শান্তি বইটির পাতায় পাতায়।
এক চিরন্তন দর্শন, মায়ের কোলের মত, বনস্পতির পল্লবিত ছায়ার মত পরিব্যাপ্ত হয়ে আছে বইটিতে।
কিন্তু কোথাও কিছু করার চেষ্টা নেই, নতুন ভাষার ব্যায়াম নেই, হাততালি কুড়োনোর সার্কাস নেই, সমাজ বদলানোর স্লোগান নেই আর নেই আরো একটি বিষয়। জোর করে দার্শনিক কবিতা তৈরি করার যেমন চেষ্টা নেই, তেমন নেই জোর করে কিছু ভাবনাকে প্রতিষ্ঠিত করাও। সব যেন অতি স্বাভাবিক ভাবে এসেছে এই বইটিতে।
উষামঙ্গলের বৈশিষ্ট্যই হল সহজের স্বাভাবিকতা বা স্বাভাবিকতার
সহজ প্রকাশ। এমন গভীর অথচ অনাড়ম্বর কবিতা বাংলা কবিতার সম্পদ
নিঃসন্দেহে । যেহেতু সম্পূর্ণ কবিতাটিই এক ধ্রুপদী আলাপের মতো, তাই আলাদা ভাবে কোনও কবিতা না তুলে দিয়ে পুরো
কাব্যগ্রন্থটিকে তুলে দিতে ইচ্ছে হচ্ছে।
বাংলা
কবিতার জগতে এই কবিতার বই এক সংযোজন।
উষামঙ্গল
/ শমীক সেনগুপ্ত/ ভাষালিপি/ প্রচ্ছদ- সঞ্জীব চৌধুরী
No comments:
Post a Comment