তিনটি কবিতা
চল্লিশ পেরিয়ে
প্রচন্ড সিংহের পাশে
চুপচাপ বসেছে সিংহীটি
টুঁ শব্দটি না করেই
পুকুরের জলে ঝরে পড়েছে জারুল
দৃষ্টি, বাতাসের মতো,
নিঃশব্দে ছুঁয়েছে যাকে চায়
গভীর নির্জন পথ চলে গেছে
দিগন্তের পানে
#
প্রেম যেন ঝড়ো হাওয়া,
পাহাড়ি নদীটি খরস্রোতা
ভালোবাসা শান্ত গ্রাম
যত কথা তার চেয়ে বেশি
নীরবতা...
হত্যাকারী
হত্যাকারী ছাড়া তুমি আর
কে?
কথা বলতে থাকা এতগুলো
লোককে
তুমি চুপ করিয়ে দাও
নিশ্চিহ্ন করে দাও
মিলিয়ে দাও বাতাসে...
#
হতাকারী তুমি ছাড়া আর কে
#
লোকটা বিড়বিড় করে বলছিল
টিভির সুইচ অফ করতে
করতে...
প্রস্তরযুগের শিলালিপি
বাঁদিক বরাবর কিছুটা
খুঁড়লেই
পাওয়া যায় ঝিরিঝিরি
স্বপ্নের বুদবুদ
তার কিছুটা নীচেই
কলকাকলির মতো মানুষের আকুতি
এরপর কিছুটা ডানদিকে সরে
আসলেই
দেখা যায় হরিণের চোখের মতো
একটি সন্ধ্যাতারা
গ্রাম ছাড়া ওই রাঙামাটির
পথের মতো
একটি বালকের হাসি
একদম ডানদিক বরাবর কিছুটা
খুঁড়লেই
দেখা যায়
বরফে মোড়া পাহাড়ের মতো
দানবের দাঁত
আর তার ঠিক নীচেই
চন্দন গন্ধের মতো পৃথিবীর
প্রথম মায়ের মুখ
#
কলমকে গাঁইতির মতো বাগিয়ে
স্তরের পর স্তর, স্তরের পর
স্তর
এভাবে খুঁড়তে পারলেই
ম্যাজিক
#
সাদা পাতা আসলে তো
মার্বেল, গ্রাফাইট আর
গ্রানাইটে মোড়া
পৃথিবী
No comments:
Post a Comment