জন্মের সাধনা হবে বলে এই জন্ম, এই জন্মে- জন্মে জন্ম দেওয়া হবে
তুমি যে মুহূর্তসুখে সব অভিমান ছেড়ে ভুলে আছ তীব্র
মৃত্যুশোক
সেখানে দেবতা নেই, অথবা বংশের বৃদ্ধি হবে বলে সে-মূঢ় দেবতা
তোমারই প্রাণে ও শ্বাসে, তোমারই হিল্লোলে বসে আন্দোলিত করে
এই চোখ
যে চোখ কামনাভরা শারীরবৃত্তীয়, যার ভরকেন্দ্রে রূপবন্দনা
অরূপের কথা বলে, তবু লাস্যে ভরা তার অন্তর্গত বিরহবেদনা
ভালুকের জ্বর থেকে শক্তি ধার করে, তার দেহদন্ড কোমলের কাছে
শিশুর সারল্যে ধাবমান, এই গোপনীয় মেঘে মেঘে আলাপচারিতা।
অক্ষের নিরিখে এই গ্রহতারা ঘূর্ণ্যমান, অগ্নিকুন্ডে বৃত্ত
ধরে ধরে
ঝাঁপ দেয় মেরুদন্ডী, সাঁতারে আলোকবর্ষে হাজার পায়ের চঞ্চলতা
ঘুরে ঘুরে উঠে আসে, ওই তার আত্মা, দীর্ঘকাল পর গ্রামে ফিরে
আসা
যেখানে সখীর মায়াভরা চোখে শেষবার দেখেছিল অশ্রুতীর্থতীর
যেখানে মানববিশ্ব, লোকাচার, উলুধ্বনি, হলুদ, শুক্তো ও
মেথিশাক
উন্মুখ জন্মদানে, স্বভাবে রোপণ করে আলিঙ্গন, জন্মসম্ভাবনা।
মেঘে মেঘে আলাপচারিতা... ভালো লাগল খুব। কতদিন পর সৌম্যর কবিতা পড়া হ'ল।
ReplyDelete