Thursday 15 March 2018

প্রিয়ক মিত্র



'ছায়াপুরুষের রক্তমাংস' ও 'ফিল্মবাফ':

সিনেকবিতার দুই আলেখ্য



কবিতা নিয়ে কিছু লিখতে যাওয়া আমার কাছে বাতুলতা। সবসময়ই একজন আত্মমগ্ন কবিতাপাঠকের ভূমিকা পালন করে চললে, কবিতার নন্দনতত্ত্বের দিকে তাকানোর কোনো সুযোগ থাকে না। রণজিৎ দাশের ‘ খোঁপার ফুল বিষয়ক প্রবন্ধ' পড়তে গিয়ে অবাক হয়েছিলাম , তার জীবনানন্দ সম্পর্কিত লেখা প্রবন্ধগুলির ছত্রে ছত্রে কী নিবিড় কবিতাপাঠের ছাপ। একই সঙ্গে  মগ্নতা এবং অন্বেষা সে লেখায়। একজন কবির পাঠও এত নির্মোহ হয়ে উঠতে পারে? 

অর্ণব সাহার 'ফিল্মবাফ' এবং অনির্বাণ মুখোপাধ্যায়ের 'ছায়াপুরুষের রক্তমাংস' নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তাই আমি খানিক নাজেহাল।


 ‘ফিল্মবাফ’ , ডিলিরিয়াম ও দু চার কথা


কবিতার বই নিয়ে কথা বলতে গিয়ে কবিকে নিয়ে কথা বলা নিরর্থক, কিন্তু এক্ষেত্রে তার প্রয়োজন হয়ে পড়ছে, কারণ কবি অর্ণব সাহার আড়ালে প্রাবন্ধিক অর্ণব সাহাকে আবিষ্কার করতে পেরেছি আমি, পাঠক হিসেবে। ‘শুধু বিঘে দুই’ থেকে প্রকাশিত 'ফিল্মবাফ'-এর উৎসর্গপত্রে মিশেল ফুকোর নাম, এবং কবিতায় 'ফুকোডিয়ান সত্তা'-র উল্লেখ। অর্ণব সাহার হলুদ বই সংক্রান্ত প্রবন্ধ আমি প্রথম পড়েছিলাম একটি পূজাবার্ষিকীতে। তারপর জেনেছিলাম 'উনিশ শতকের যৌনতা' নিয়ে অর্ণব সাহার কাজকর্মের কথা, পড়েছিলাম মার্কুইস দ্য সাদ কে নিয়ে তার একটি সাক্ষাৎকার। ফুকোর উল্লেখ তার কাজেকর্মে বারবার ফিরে ফিরে এসেছে। তার কবিতার বইতেও সেই উল্লেখ উপস্থিত। 

অর্ণবের প্রচন্ড ব্যক্তিগত ডিলিরিয়ামের মতন কবিতাগুলি ধরে রেখেছে বাঙালির যৌনতা এবং বৈদগ্ধ্য নিয়ে প্রাবন্ধিক অর্ণবের নৈর্ব্যক্তিক ভাবনাসূত্র। 'রাজাবাজারের মেয়ে, তোমার ব্লাউজ-ঢাকা ফর্সা পিঠ দেখি/ চুমু খেতে চাই ওই ত্বকে.../শরীর এতটা কমনীয় হতে পারে'-এই ব্যক্তিগত ঘোষণাতে অর্ণব মেপে নেন লিবিডোর জটিল অঙ্ক। খাদ্য এবং যৌনতার ফ্রয়েডীয় সমীকরণ মেনেই কফি এবং স্যান্ডউইচ-এর প্রসঙ্গ বারবার ঘুরেফিরে আসে।

'ফিল্মবাফ' কে প্রথম কবিতাতেই 'যুক্তিফাটলের অধিকারী' এবং 'অবাস্তব' বলে যে কোনো সারস্বত সন্দর্ভের যুক্তিকাঠামো থেকে অর্ণব দূরত্ব নির্মাণ করেন নিজের কবিতার। এই 'ফিল্মবাফ'-এর 'পশমে ঢাকা পূর্ব ইউরোপের মুখ' 'এই গোলার্ধ থেকে' দেখার যে ইমেজ ভেসে ওঠে কবিতায় তার মধ্যে এক অসহায় যৌন আর্তি ঘোরাফেরা করতে থাকে।

একটি কবিতা ব্রাত্য বসুকে উদ্দেশ্য করে শুরু হয় সরাসরি, 'তোমার বাড়ির সামনে এবড়োখেবড়ো মাঠ ছিল ৮০-র দশকে' -যেন একটা সময়ের রাজনৈতিক চিহ্ন হয়ে থাকে এই পংক্তি। এই কবিতাতেই আবার 'আরুণি আমার পূর্বপুরুষের নাম/জাবালি আমার পিতৃপুরুষের নাম'- ব্যক্তিকথন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে এক অন্যতর ইতিহাসতৃষ্ণার ইঙ্গিত দেয়। 'বালি খুঁড়ে খুঁড়ে যেভাবে প্রত্নতত্ত্ব ইতিহাস বইতে ঠাঁই পায়'-কবিতা তার বাস্তবতা ছেড়ে পেছনে হাঁটছে। ইমদাদুল হক মিলনের 'সাড়ে তিন হাত ভূমি'-তে যেমন এক মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের কবর খুঁড়তে গিয়ে পেয়ে গিয়েছিল অটল ইতিহাস, তার দেশের।

'পৃথিবী কুঁচকে যাচ্ছে। ভাঙা গ্লেসিয়ার
একদিন আচমকাই আমাদেরও গর্তে 
টেনে নেবে! 
ফিল্মবাফ, সবাই আমরা ছুটন্ত নেকড়ের পিঠে
চড়ে বসি'

বিজ্ঞান যখন বলছে ক্লাইমেট এমার্জেন্সির কথা তখন এক বিপন্ন কবির স্বর আসলে ওই ছুটন্ত নেকড়ের পিঠ খুঁজে নিয়ে অনন্তে পালাতে চায়, অন্তত তার ইচ্ছেটুকু পোষণ করতে চায়। 'নষ্ট পলিথিন শহরের হাঁমুখ, ম্যানহোল জমা করে দিল' এই পর্যবেক্ষণ নিয়ে কবি 'লাল ড্রাগনের দেশে', 'অদ্ভুত শীতের দেশে' হাজির হতে চান 'ফিল্মবাফ'কে নিয়ে, যেখানে 'তোমার অলীক ঠোঁটে মিশে গেছে আমার দু-ঠোঁট'; অলীকেই পৌঁছে যায় কবিতার আকাঙ্খা, শেষত।





আমাদের ছায়াপুরুষ, আমাদের সভ্যতা

"আমাদের কবিকৃতি ছত্রেছত্রে শ্মশানকলস
ছুঁয়ে আছে রাত জুড়ে আদিগন্ত ধোঁয়ায় বিলীন
শব্দ নয়, অর্থ নয়, নাভিকুন্ডে ঘৃতের মিহিন
স্পর্শমাত্র লেপ্টে আছে।"

'উত্তর ঔপনিবেশিক বাংলা কবিতা' -র লেখক অনির্বাণ মুখোপাধ্যায় তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ 'উপনিবেশ থেকে' শুরু করেছিলেন এইভাবে। এ যেন অর্ঘ্য নিবেদনের আগের গম্ভীর মন্ত্রোচ্চারণ। তার প্রথম কাব্যগ্রন্থের এই  ঘোষণা আমাদের আভাস দেয় এক নিরালোক কাব্যভুবনের, বাংলা কবিতার মূলস্রোত যাকে উপেক্ষা করে চলেছে। মণীন্দ্র গুপ্ত, পার্থপ্রতিম কাঞ্জিলাল, বিশ্বদেব মুখোপাধ্যায়দের কাব্যকৃতির এক নবতম উত্তরাধিকার ছিল সেই বই, যার শিরোনামের সঙ্গে জুড়ে ছিল একটি সংক্ষিপ্ত বিবৃতি, 'একটি হালকবিতার বই' ; যে হালকবিতা 'বাচস্পতিপাড়া রোড' ঘুরে, 'শাক্ত চতুর্দশপদী' বা 'সোনাবন্দনামা'-র অলিগলিতে আমাদের পৌঁছে দিয়েছে। এই হালকবিতা এমন এক সমান্তরালের কথা বলেছে যাকে ডিকোড করতে হয়, মন্ত্রগুপ্তি করায়ত্ত না করলে তার কাছে পৌঁছনো যায় না; অথবা যায় , তার অবভাসের কাছে পৌঁছনো।

নেহাৎ আনাড়ি পাঠক হিসেবে অনির্বাণ মুখোপাধ্যায়ের কবিতা পড়তে গেলে খানিক বিপন্ন লাগে, কারণ সেই কবিতা এতই আন্তরিকভাবে উদাসীন থাকে আমাদের ভাঙচুরের প্রতি। টি এস এলিয়ট বলেছিলেন ঐতিহ্য বহন করে কবিতার 'ইমপার্সোনাল' হয়ে ওঠার কথা। 'ইউরোপের মন' কীভাবে সেই মহাদেশের কবিদের কাব্যের ভাষ্য নির্মাণ করছে তার উল্লেখ করেছিলেন। অনির্বাণ মুখোপাধ্যায়ের কবিতাগুলি বাংলা কবিতার মননকে ধরে রাখে। ধরে রাখে তার নীলাম্বরীর নীল সুতো, যার উপাসনা করার কথা অনির্বাণ মুখোপাধ্যায় বলেছেন তার 'উত্তর ঔপনিবেশিক বাংলা কবিতা'-য়। 

'ছায়াপুরুষের রক্তমাংস' কাব্যগ্রন্থটি এবারের বইমেলায় পুনর্মুদ্রিত, 'রাবণ' প্রকাশনা থেকে। সিনেমাবিলাসী এক মনের সামনে 'আড় করে রাখা সাদা চৌকো পাত্রে পরিবেশিত হচ্ছে ছায়াপুরুষের রক্তমাংস'‌। যে রক্তমাংসের দোহাই দিয়ে লিখে ফেলা যায়, 

"টেবিল চাপড়ে লোকটা বলছিল
 টু দা টপ... টপ...টপ
অথচ আমরা শুধু টপ-টপ-টপ করে 
কীসের যেন পতনের শব্দ শুনলাম সারাজীবন?" 

কীসের পতন, তা কিন্তু আমাদের মধ্যবিত্ত ভীরু মন জানে। এই কবিতায় সেই সাধনার কথা বলছেন অনির্বাণ মুখোপাধ্যায়, যাতে "পুরুষ ঊর্ধ্বরেতঃ হয়/কুলকুন্ডলিনী চুলবুলিয়ে ওঠে"; পাঠক নাগাল পাচ্ছেন না যেমুহুর্তে, সেই মুহুর্তে নিশ্চিন্ত করা ঘোষণা, "আর আমরা তো ছা-পোষা জীব"। আমরা ছাপোষা জীবরা শুধুই,
 "দু-চোখ ভরে দেখি, লেবুপাতায় আটকে থাকা গোটা একটা শ্রাবণ
টেবিলের এক একটা চাপড়ে কেমন উঠে যাচ্ছে
শূন্যে, মহাশূন্যে, অতিশূন্যে..."

-আবার সেই 'ইমপার্সোনাল' উত্থান।

কবিতা নিয়ে কথা বলতে গেলে কবিতাকেই সম্বল করতে হবে। এই কাব্যগ্রন্থের প্রথম কবিতাতেই বলা আছে, 

"লার্জার দ্যান লাইফ এক ছায়া
হলের বন্ধ গেটের তলা দিয়ে গড়িয়ে এসেছে
বাইরে বসা বাদামওলার ৩৬-২৪-৩৬ সদৃশ
স্ট্যান্ডের গায়ে"

যে কৈশোর , যে যৌবনের শরিক হলে এই লাইন লেখা চলে, তা আমাদের আগের প্রজন্মের। কিন্তু এই কৈশোর এই যৌবনে এক ডিপার্চার আছে, যা এই বিশ্বায়িত দুনিয়ায় বড় হয়ে ওঠা আমাদের প্রজন্মের কাছেও বার্তা বহন করে নিয়ে আসে। বদ্রিলার্ডের ভাষায় শূন্য শতাব্দী , যে শতাব্দীতে আমরা বাদামওলা এবং হ্যামবার্গার ডেয়ারি মিল্কের মধ্যিখানের ধূসরিমায় বেড়ে উঠলাম।

" 'পূরবী' হলের বাইরে বিভাস
 তার ছায়া ফেলছে ৩৬-২৪-৩৬-এর 
আশ্চর্য সব মেয়েদের গা বরাবর, যাদের 
পা নেই, মাথা নেই, এমনকী কাঁধ
.....
কার পূরবী? কার বিভাস?"

এই আশ্চর্য সব মেয়েদের মধ্যে যে বিষাদ , যে মেলানকোলিয়া নিয়ে এই কবিতা লক্ষ রাখে ছায়ার মতন সুদীর্ঘ অস্তিত্বের ম্যাটিনি আইডলের ওপর, তার কোনো তুলনা খুঁজে পাওয়া দুষ্কর।

দেশভাগ পরবর্তী বাংলায় উত্তমকুমার কীভাবে হয়ে উঠলেন ফেনোমেনন, সে বিষয়ে একটি লেখা পড়েছিলাম সূর্য বন্দ্যোপাধ্যায়ের। কিন্তু সেরকম কোনো গবেষণামূলক লেখা যা ছুঁতে পারেনা, তা ছুঁয়ে ফেলে কবিতা, অবলীলায়-

"গসিপে গসিপে ছেয়ে গেল উলটোরথ, নবকল্লোল...গসিপে গসিপে আঁকা হয়ে গেল এক গোটা পশ্চিমবাংলার ম্যাপ, বীরভূম জেলার সামনে থমকে রইল বনপলাশীর পদাবলি। আর তাতে সুরারোপ করে ফেললেন কানাইবাবু, ক্লাস নাইনের মেয়েরাও চমৎকার গেয়ে ফেলল সেই কীর্তন"

"ল্যান্ডমার্ক গম্বুজকল, সামনে সুচিত্রা সেলুন
-এখানে উত্তমরূপে চুল কাটা হয়" 

-এই পংক্তি ধরে ফেলে এক উত্তুরে বাঙালিমানস, যারা বেকেটের নাটকের চরিত্রদের মতন কোনো অলৌকিক গোডোর অপেক্ষায় বসে ছিল, যাদের গ্যাট চুক্তি ঘেঁটে দিয়েছে। যে ল্যান্ডমার্ক-কে সম্বল করে আমাদের এগিয়ে চলা অনিবার, তা আসলে আমাদের ছা-পোষা অস্তিত্ব থেকে দূরত্ব নির্মাণ করে চলেছে ছায়ার, আর সেই ছায়ার রক্তমাংস হয়ে উঠছে আমাদের খাদ্য। আর তার সঙ্গেই অনায়াসে মিলে যায় ব্যক্তিগত অণুষঙ্গ-

"মানে যে সময় ভাস্করদা নবজীবন ক্লাবে
আর কফিহাউসে কার যেন নাম করা বারণ, 
অথচ, বরানগর বাজারে নেমে বাঁ-দিকে গেলেই
রতনবাবু রোড, তারও বাইলেন ছিল বোধহয়"

টিভি থেকে ভেসে আসা 'থানা থেকে আসছি' ডাকের সঙ্গে মিশে যায় 'জং-ধরা প্রিজনভ্যানের গন্ধ'। মিশে যায় ভয়। কেমন জানি সত্তরের আভাস পাওয়া যায়, এই গন্ধ , এই ভয়ে। রাষ্ট্রের ভয় যেসময় মানুষকে কোণঠাসা করেছে।

"তাহলেই দেখা যাবে ভোরের ময়দান
চার-পাঁচজন সাদাটুপি খাল্লাস করছে 
কার যেন মুন্ডহীন ধড়"

একঝলক মনে পড়ে না কি তিমিরবরণ সিংহ কে?

আর যে কাউন্টারভয়ের গল্প তৈরি হয় এই একই কবিতায়, তা সত্যিই হিমস্রোত বইয়ে দেবে শিরদাঁড়ায়, 

"আমাদের ঘর থেকেই যদি কেউ 
'থানা থেকে আসছি...' বলে ঢুকে পড়ত
টিভি-র ভিতর , তবে কী না যেত পিছন পিছন! 
গণধর্ষণ, সিঁধেল চুরি, হাতটান, জাল দলিল, 
গায়ে কেরোসিন দাউদাউ"

কলকাতার এক প্রাচীন অভিশপ্ত শরিকি সভ্যতার গল্প যেন ধরা পড়ে কবিতার ফ্রেমে।

"ঝুপ করে যা নামে আসে, 
তাকে কি আঁধারের ধূপছায়া বলে?"

কাকু না থাকাকালীন চীরঞ্জীববাবুর হাত হারমোনিয়াম ছাড়িয়ে নীতিকাকীমার আঙুল ছুঁল কি না তা বোঝা না গেলেও মানময়ী গার্লস স্কুলের গানের মাস্টার যে রাজা হতে চায়নি তার সোচ্চার ঘোষণা রয়েছে অনির্বাণ মুখোপাধ্যায়ের কবিতায়। কোন সে গ্রীষ্মের সন্ধ্যের গল্প, যেখানে আকাশবাণীতে বাংলা গানের মেলোডি আর বোমার আওয়াজ বাইরে টেক্কা দিত একে অপরকে! পাখার মৃদু ঘুরে চলা, সান্ধ্যকালীন স্নানের পরের শীতলতা আর তুলসীতলার যে নিরুচ্চার যাপন, সেই যাপনে কেউই 'রাজা' হতে চায়নি, বরং কবিতার শর্ত মেনে 

"আমরা যেন পাভলভের কুকুর,
তৃতীয়বার ঘন্টাধ্বনি ঘনাবে বলে ক্রমাগত
লালা নিঃসরণ ঘটিয়ে চলেছি, 
আর, ছায়াপুরুষ প্রস্তুত হচ্ছেন..."

সৌম্যেন পালের এক অত্যাশ্চর্য প্রচ্ছদসমেত বইটি আমাদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য অজস্র ধন্যবাদ 'রাবণ' কে। 

 গ্রন্থঃ ফিল্মবাফ / অর্ণব সাহা  / শুধু বিঘে দুই
গ্রন্থ ঃ ছায়াপুরুষের রক্তমাংস / অনির্বাণ মুখোপাধ্যায় / রাবণ

1 comment:

  1. অর্ণব বসু পড়িনি। অনির্বাণ মুখোপাধ্যায় এর কবিকৃতির নিবিষ্ট পাঠক, শুধু কবিতা কেন যাবতীয় রচনা/ নির্মাণের সহপাঠী হিসেবে বেশ ভালো লাগলো। আজকের ছেলেমেয়েরা অনির্বাণ পড়ে না বলে অনির্বাণের খেদ রয়েছে-- ধ্যুস দাদা কেউ পড়েই না। এই তো কি যত্নে তাঁকে পড়া হয় জানবেন এবার কবি প্রাবন্ধিক.... আরো অনেক কিছু তিনি

    ReplyDelete