কল্পনা হল সেই
দেশ যেখানে অবিরাম বৃষ্টি পড়ছে।
কথাটা আমার নয়।
কবি দান্তের। আমি আবার তুলে এনেছি দান্তে নয়, ইতালো কালভিনোর একটা বই থেকে। দান্তে
যে অর্থে কথাটা বলছেন, কালভিনোও তাই, যে কল্পনার দেশে অবিশ্রাম দৃশ্যের জন্ম হয়।
কোথা থেকে তারা আসছে, কেনই বা তারা আসছে, বোঝা যায় না। শুধু একের পর এক দৃশ্য দেখা
যায়। তাদের মধ্যে কোনও সম্পর্ক আছে কি না, তারা সংলগ্ন কি না, আদৌ কোন অর্থ তারা
বহন করছে কি না, এসব বুঝে ওঠার তোয়াক্কা না করেই তারা কেবল মাথার ভেতর জন্ম নিতে
থাকে।
শিল্প সাহিত্যের
মূল কারবারটা আসলে এই সব ছবি নিয়েই। ছবির আড়ালে যে সব অনুভব, যে অভিজ্ঞতা, যে
ব্যাঞ্জনা, যে সব চেতন অবচেতনের টানাপোড়েন লুকিয়ে থাকে, তাদের খুঁজে এনে তাদের
নতুন অর্থে ভরিয়ে তোলা। শিল্প সাহিত্যে তাই শেষ কথা বা চূড়ান্ত অর্থ বলে কিছু
হয়না। চরিত্রগত ভাবেই তা এক জানলা দরজা খোলা ঘর, সময়ের সাথে সাথে যা নিজের জন্য অন্য মানে দাবী করবে।
দান্তের সময় থেকে
আজকের এই লেট ক্যাপিটালিজমের সময়টা বহু কারণেই সম্পূর্ণ আলাদা। তখন যেটাকে মনে করা
হত ঈশ্বর প্রেরিত, আজকের পণ্যবাদী সময়ে, আমরা জানি যে সেই সব অবিরাম দৃশ্যের, যাকে
ইমেজ বলা যায়, তাকে প্রয়োজনমত এবং নির্দিষ্ট লক্ষ্যে নির্মাণ করা যায়। এর ফলশ্রুতি
হিসেবে, পোস্টমডার্নিস্ট সাহিত্য আন্দোলন এটাও দেখালো যে শিল্প সাহিত্যে ইমেজ
নির্মাণের সাথে সাথে তাকে বিনির্মাণও করা যায়। নিজস্ব কারণেই ভাষার, বিশেষ করে
সাহিত্যের ভাষার সেই ক্ষমতা আছে যা দিয়ে সে নির্মাণ ও বিনির্মাণ দুটোই করতে পারে।
উপরের সতের
লাইনের এই প্রাককথনটির দরকার পড়ল একটাই কারণে। বিশ্ব সাহিত্যের ইতিহাস
এনলাইটেনমেন্টের সরলরৈখিক সূত্র পার করে মডার্নিজমের বহুস্তর ও বহুমাত্রিক যে
বাস্তবতার প্রকাশ, তাকেও ছাড়িয়ে গেছে বহুযুগ হল। একুশ শতকে এসে নতুন করে এই কথা আর
বোঝাবার বা জানাবার প্রয়োজন হয়না যে বাস্তবতা কোন একক নয়। এবং বাস্তবতার কোনও
অবিসংবাদিত সত্য বলেও কিছু নেই। তাকে প্রয়োজন মত বানিয়ে তোলা যায় ও প্রয়োজন মতই
ভেঙে নতুন রূপ দেওয়া যায়। ইতিহাস জানিয়ে দেয় যে প্রতিষ্ঠান ও ক্ষমতা তাদের নিজেদের
প্রয়োজনেই এই কাজটা করে। সুতরাং সেই ক্ষমতা বৃত্তের বাইরে যারা থাকে, সেই সব মানুষ
ও তাদের পরিবেশ, এক অন্য বাস্তবতা বা ‘অপর’ বাস্তব হয়েই ক্ষমতা-বৃত্তের কাছে উঠে
আসে। তারা ঠিক মানুষ নয়, অনেকটাই যেন ‘নেই-মানুষ’। তাদের নিঃসঙ্গতার, অসহায়তার, হারিয়ে যাওয়ার, নিরাশ্রয় ভাষা ঠিক আমাদের মত নয়। দূর্বোধ্য, অস্ফুট, হয় আর্তনাদ নয়ত ফিসিফিসানিতে ভরা। বোঝা যায় না ঠিক। তারা
না থাকলেই যেন ভাল হয়।
শমীক ঘোষের গল্প
সংকলন ‘ এলভিস ও অমলাসুন্দরী’র ব্লার্বে
লেখকের নিজের বয়ানে এই অপর ভাষার, অন্য জীবনের অনুসন্ধান উঠে আসে এই ভাবে,
ঘটনার আঠায় জোড়া
লাগানো বাস্তবতা নয়। বাইরের জীবনের আড়ালে থাকা অন্য এক জীবন। মনের ভিতরে লুকিয়ে
থাকা অন্য এক মন। সেইসবই লেখক খুঁজে পেতে চেয়েছেন তাঁর গল্পে। এ বই তাই পাঠকের
কাছেও এক ডুব সাঁতার।
বাংলা সাহিত্যের
মূল ধারায় মানুষের প্রান্তিক জীবনের কথা বা ‘অন্য এক মন’এর কথা বহুদিন থেকেই লেখা
হয়েছে। এর মধ্যে খুব কিছু নতুন কথা বলার জায়গা তেমন নেই। বস্তুত সারা পৃথিবীর
সাহিত্যের কথাই যদি ভাবি দেখতে পাই যে প্রান্তিক মানুষের অবস্থান, তার নিঃসঙ্গতা,
তার বেদনার কথা ন্যাচালিজমের হাত ধরে, রিয়ালিজম, মডার্নিজম থেকে আজ অবধি, বহুবার
বহুভাবেই বলা হয়ে গেছে। তাদের প্রকাশের গঠন পালটেছে, কাঠামো পালটেছে, রূপ পালটেছে,
বাস্তব প্রেক্ষিত পালটে গেছে, কিন্তু মূল ভাব একই আছে। আর সেটাই স্বাভাবিক।
এখানে যেটা
গুরুত্বপূর্ণ যে একই ভাব, বা একই কথা, নতুন কোন ভঙ্গীতে ও কী ফর্মে প্রকাশিত হল।
আর এই কারনেই আজকের সময়ের সাহিত্যে ন্যারেটিভ স্ট্রাকচার এত বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে
উঠেছে।
একুশ শতকের
সাহিত্য, তাকে পোস্টমডার্ন সাহিত্য বলি অথবা নাই বলি কয়েকটা অন্তর্লীন প্রবণতাকে
বহন করছে। আর এই প্রবণতাগুলো কমবেশি এসময়ে সব দেশের সাহিত্যেই দেখা যায়। তাদের
মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটা, যেমন ইংরেজি পরিভাষাতেই বলি, ইন্টারটেক্সচুযালিটি,
মেটান্যারেটিভ বা প্যাসটিচ, এসবের ব্যবহার ইদানীং এই বাংলাতেও বেশ কিছু তরুণ
লেখকের লেখায় দেখতে পাই। এটা নিঃসন্দেহে আশার কথা। পরিভাষার ধাঁধাকে দূরে রেখেই যদি
বলি, প্যাসটিচ বা কোলাজের ধরণে বিচ্ছিন্ন ছেঁড়া ছেঁড়া ছবিকে এঁরা গদ্যে ব্যবহার
করেন লেখায় এক ধরণের গতি নিয়ে আসার জন্যে। হতে পারে সে সব ছবি হয়ত একই সময়ের বা
একই স্পেসের নয়। হতে পারে তারা সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন দুটো আর্থসামাজিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে প্রথম দেখা দিয়েছিল।
হতে পারে তাদের মধ্যে একটা ছবি হয়ত লেখকের বাস্তব অভিজ্ঞতায় দেখা, আর অন্য ছবিটা
লেখকের কল্পনা, স্বপ্ন বা অবচেতন থেকে উঠে এসেছে। এমন অনেক ছবিও তাঁরা নিয়ে আসেন
যা সরাসরি ইতিহাস বইয়ের পাতা থেকেই উঠে এসেছে। আর এমন সব ছবিকে, যারা ভিন্ন,
আপাতবিচ্ছিন্ন দেশ কাল এ জন্ম নিয়েছিল তাদের একই গল্পের পরিসরের বা স্পেসের মধ্যে
নিয়ে আসার ফলে তারা অন্য মাত্রায়, অন্যতর অর্থে পাঠকের কাছে দেখা দিতে থাকে। কোনও
একটা নির্দিষ্ট সময়ে ও সমাজে, পাঠকের মনে যে কোন সাহিত্যকে পাঠ করবার বা তাকে
গ্রহণ করার যে সর্বজনগ্রাহ্য রীতি বা ব্যাকরণ থাকে তাকে এই নতুন ন্যারেটিভ প্যাটার্ন
নানাভাবে এলোমেলো করে দেয়। ফলত লেখকের সাথে সাথে পাঠক নিজেও যেন অন্য এক সময়ভ্রমণে
বেরিয়ে পরেন। সেই ট্রাভেলগ কোনও ধারাবাহিক সময় কে মানে না। সে অবলীলায় অতীত,
বর্তমান বা ভবিষ্যতের মাঝে যাতায়াত করতে পারে।
শমীকের এই সংকলনে
প্রায় সব লেখাই এই সময়ভ্রমণের মধ্যে আমাদের নিয়ে যায়। আর এই প্রবণতাটাই তাঁকে এ
সময়ের আর পাঁচজনের থেকে আলাদা করে চিনিয়ে দেয়।
সংকলনে ‘ঈশ্বরের
কান্না’ বা ‘দূরবীন’ অথবা ‘হাফ টাইমের পর’ এর সবথেকে ভাল উদাহরণ।
‘দূরবীন’ এ বইয়ের
সর্বাধিক আলোচিত লেখা। কাহিনি শুরু হয় আজকের দশকের পোল্যান্ডে। প্রধান চরিত্র এক
বাঙালি যুবক যে বিদেশে কর্মরত। একটি পুরনো কিউরিও শপে একদিন সে এমন একটি
বাইনোকুলার খুঁজে পায় যেটা নাৎসী আগ্রাসনের সময়ে ব্যবহার করা হয়েছিল। নিঃসঙ্গ যুবক বিদেশের সুদূর শহরে একা সেই
দূরবীনে চোখ রাখতেই এক এক করে দৃশ্য বদলাতে থাকে। আর ক্রমে সেই যুবক রূপান্তরিত হয়
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ের এক নাজী সেনার চরিত্রে। তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে একজন
জিউ ডাক্তার কে বন্দী করার জন্যে। এর পর একের পর এক ঘটনা কিভাবে বদলে যেতে থাকে সে
বর্ণনা এখানে থাক। যেটা এই গল্পে সবথেকে
গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়েছে সেটা এই যে হলোকাস্ট এর সময়ের নাজী দখলে থাকা পোল্যান্ড আর
আজকের ভারতবর্ষ তাদের ভিন্ন রাজনৈতিক ইতিহাস থাকা সত্ত্বেও কখন যেন এ গল্পে একাকার
হয়ে যায়। ইতিহাসের দুটো ভিন্ন ঐতিহাসিক সময়কে একই স্পেস এর মধ্যে নিয়ে এসে এবং
কাহিনির প্রতিটি বাঁকে একই চরিত্রকে রূপান্তরিত করতে করতে শমীক যেখানে পাঠককে
পৌঁছে দেন সেখানে দাঁড়িয়ে ইতিহাসের বিভিন্ন পর্যায়ের ক্ষমতা-ব্যাবস্থার মুখোমুখি
একা নিঃসঙ্গ বিপন্ন মানুষের অন্তহীন সংলাপ শুরু হয়। এই অর্থে শমীক ঘোষ এর গদ্য নিঃসংশয়ে
রাজনৈতিক। সমাজের বিভিন্ন স্তরে রাষ্ট্র ক্ষমতা যে হিংসার, সন্ত্রাসের, শোষণের
অসংখ্য শেকড় গোপনে অথবা প্রকাশ্যে মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দেয়, তাকে চ্যালেঞ্জ জানায়,
ও সময়বিশেষে সাবভার্ট করে।
ওঁর গল্প ‘ঈশ্বরের
কান্না’ এই ভাবনার সব থকে বড় প্রমাণ। সেখানে লেখকের দেখা হয় কলকাতায়, ঈশ্বর নামে
একজনের সাথে। নিম্নবর্গের মানুষ। টেক্সট বইয়ের পরিভাষায় লুম্পেন প্রলেতারিয়েত। সেই
একই মানুষকে আবার আবিষ্কার করেন গোভান্ডীতে। সেখানে সে আর ঈশ্বর নয়, খুদাবক্স।
দাঙ্গার শিকার। তাড়া খেতে খেতে পালিয়ে বেড়ানো মানুষ। লেখককে সে নিয়ে যায় আর এক
অন্য জগতে।
ঈশ্বর ভেলা নিয়ে
আসে। প্লাইউড আর থার্মোকলের ভেলা। সমুদ্রে ভাসমান হই আমরা দুই নাবিক। ঈশ্বরের বাড়ি
যাব। নীচে পাঁক না জল বোঝা যায় না। ঈশ্বর লগি ঠেলে। ‘দাদা, এই জায়গাটার নাম
চিকলওয়াড়ি। মারাঠিতে মানে কাদার বস্তি’।
একদিকে মুম্বাইয়ের
নয়া-উদারনৈতিক ধনতন্ত্রের বৈভব আর প্রাচূর্য্য, আর তার আড়ালে ক্লিন্ন কুৎসিত
দারিদ্রের বীভৎস ছবি। গল্প শেষ হয় এফ এম এ ভেসে আসা বিজ্ঞাপনের আওয়াজে।
‘ওয়ান্ট টু গেট
রীড অফ দ্য মুম্বই ট্রাফিক। বাই এন আপার্টমেন্ট এট মথুরা হাইরাইজ। শিয়ার লাকজুরি
এট টু ক্রোর আনড আবাভ’।
শমীকের লেখা পড়তে
গিয়ে আর একটা জিনিস বারবার মনে হয়েছে। ওঁর লেখায় একটা প্রচ্ছন্ন জ্যামিতি আছে। যার
একদিকে আছে একজন মধ্যবিত্ত লেখক অন্য দিকে কোনও প্রান্তিক চরিত্র। এমন এক চরিত্র
যে পালিয়ে বেড়ায়। এক নাম না জানা সন্ত্রাস তাকে যেন তাড়া করছে সারাক্ষণ। আর কোনও
এক সময়ে, ইতিহাসের কোন অন্ধকার সুড়ঙ্গের ভেতর হঠাৎ দেখা হয়ে যায় দুজনের। যেন
গুপ্তহত্যাকারী। যেন পলাতক আততায়ী। আর দুজনে তাকিয়ে থাকে একে অপরের চোখের দিকে।
ক্ষুধার্ত, আর্ত, আতঙ্কগ্রস্ত। কে কার শিকার বুঝতে পারেনা। আর এ ভাবেই, একসময় তারা
আবিষ্কার করে একে অপরের নিঃসঙ্গতার ভাষা। আর তাদের মাঝখানের এই হিংস্র অপলক নজরে
রাখার মুহূর্ত জুড়ে, কোনও পরিত্যক্ত ইতিহাস আর তার বোবা কন্ঠস্বর নিরন্তর খেলা
করতে থাকে।
কথা শুরু
করেছিলাম ছবির বা ইমেজের কথা বলে। প্রসঙ্গত জানাই গদ্যকার শমীকের আর একটা পরিচয়
চলচ্চিত্র পরিচালক হিসেবে। ওঁর প্রথম শর্ট ফিল্ম ‘ট্রাপিজ’। সে ছবি যাঁরা দেখেছেন
তাঁরা জানেন শমীকের গদ্যের চিত্রভাষা অনেকটাই সিনেমার ভাষার কাছাকাছি। ছোট ছোট
বাক্যে একের পর এক ছবি লেখেন শমীক। অর্থহীন বিশেষণ আর তৎসম শব্দ প্রয়োগ করেন না।
এক সময়ের মধ্যে আর এক সময় ঢুকে যাচ্ছে অবলীলায়। একই চরিত্র অনেক মুখ অনেক নামে তার
গল্পে ঘুরে বেড়াচ্ছে। যেন তারা একে অপরের অপরিচিত দোসর। সময়ের একমুখীন কালক্রম
তারা অস্বীকার করে। তারা নিজেরাও জানেনা সময়ের কোন পরিসরে তাদের হঠাৎ দেখা হয়ে
যাবে। কোনও পূর্বপরিকল্পনা ছাড়াই। এটাই ডেস্টিনি তাদের। সময়ের হাতে মার খাওয়া,
রাষ্টের হাতে মার খাওয়া, ক্ষমতার হাতে উদবাস্তু হতে থাকা মানুষের নিয়তি যেন।
সিনেমার আধুনিক ভাষার সাথে পরিচিত দর্শক মাত্রেই
জানেন এই বয়ন, এই ন্যারেটিভ স্ট্রাকচার কি প্রবল ভাবে চলচ্চিত্রের ভাষার কাছাকাছি।
সেই ভাষাকে বাংলা গদ্যে নিয়ে আসার জন্যে লেখকের যথেষ্ট মুনশিয়ানা লাগে। শমীকের যে
এটা আছে এই সংকলনের চোদ্দটি গল্পে সেটা প্রতিষ্ঠিত।
আজকের সময়ে নতুন
আঙ্গিক, স্বতন্ত্র ভাবনা আর নতুন ভাবে দেখার চোখ নিয়ে এসে যে কয়েকজন তরুণ লেখক
বাংলা গদ্যসাহিত্যে আশার আলো দেখাচ্ছেন, যেমন সাদিক হোসেন বা অনির্বাণ বসু, তাদের
পাশে শমীক ঘোষ স্বচ্ছন্দে নিজের জায়গা করে নিতে পারেন।
আলোচনা আরও বড়
হতেই পারত কেননা শমীকের প্রায় প্রতিটি গল্পই তা দাবী করে। অন্য কোন পরিসরে অবশ্যই
তা করার ইচ্ছে রইল। শেষ করার আগে শুধু একটা কথাই বলার আছে।
আমার নিজের মনে
হয়েছে এত গল্পের মধ্যে নামগল্পটি ‘এলভিস ও অমলাসুন্দরী’ এই সংকলনের সবথেকে দূর্বল
গল্প। যদিও এখানেও চরিত্রদের নিঃসঙ্গতার কথাই বলা হয়েছে তবু তা একটু বেশিই যেন আম
পাঠকের ইচ্ছাপূরণের গল্প হয়েই থেকে গেল। অন্য কোনও মাত্রায় বা স্তরের ইশারা নিয়ে
এলোনা।
শমীকের মত লিখন
প্রতিভার ক্ষেত্রে এই আপোষ আমাকে একটু আশাহত করে।
এলভিস ও অমলাসুন্দরী/ শমীক ঘোষ/ সোপান/ প্রচ্ছদ - হিরণ মিত্র/ ১৭০ টাকা
গল্পগ্রন্থটির মতোই মনোমুগ্ধকর এবং বুদ্ধিদীপ্ত আলোচনা । বিশেষতঃ শেষের দিক থেকে পঞ্চম অনুচ্ছেদটি । লেখকের সঙ্গে পাঠকের দেখা হাওয়ার অনুষঙ্গে , যদিও ভিন্ন প্রেক্ষিত , মনে পড়ে গেলো উইলফ্রেড আওনের 'স্ট্রেঞ্জ মিটিং' কবিতাটির কথা ।
ReplyDeleteঅনেক ধন্যবাদ। আওনের কবিতাটি আমার পড়া নেই। কোন বই?
DeleteStrange Meeting https://g.co/kgs/3ALjiM
Deleteকোন কাব্যগ্রন্থে আছে মনে করতে পারছি না । বছর কুড়ি আগে পড়া । ওপরের লিঙ্কটায় বোধহয় পড়া যাবে কবিতাটি ।
ওয়েন এর কবিতাটি পেলাম। অনেক ধন্যবাদ। ভাল লাগলো।
ReplyDelete